২০১৪ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ শীর্ষ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৪০০ শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত রয়েছে। নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৪০০ শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত রয়েছে। নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, বিশ্ব শান্তিরক্ষা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রত্যয় এবং এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের আহ্বানের প্রতি তার দ্রুত ও ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার কারণেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম শীর্ষ পুলিশ ও নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশও। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৯টি দেশের ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে। এসব মিশনে এক লাখ ২৭ হাজারের বেশি শান্তিরক্ষী অংশগ্রহণ করেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে 'ব্লু হেলমেট' হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা মানবকল্যাণে সাড়া দেওয়ার পাশাপাশি শান্তিরক্ষীদের বিশ্ব সম্প্রদায়ে কাজ করার মতো দক্ষতা অর্জন করেছে। তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশে বিশ্বমানের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। তারা 'মডেল শান্তিরক্ষী' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্মেলনে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও রুয়ান্ডার সাথে যৌথভাবে 'শান্তিরক্ষায় উচ্চ পর্যায়ের শীর্ষ সম্মেলন' আয়োজন করে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ শান্তিরক্ষায় সকল অংশীদারীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি ঢাকায় 'সেক্রেটারি জেনারেল’স হাই-লেভেল ইনডিপেনডেন্ট প্যানেল অন ইউএন পিস অপারেশনস'-এর এশীয় আঞ্চলিক কনসালটেশনের প্রথম সভার আয়োজন করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের হাই লেভেল প্যানেল সভাপতি, নোবেল বিজয়ী এবং তিমোর লেসবের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোরটা যৌথভাবে প্যানেল সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ২০ জন প্যানেল সদস্যের পাশাপাশি ৩১টি দেশের প্রতিনিধিরাও এতে অংশগ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ শান্তিরক্ষায় নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি সামান্থা পাওয়ারের এক সাম্প্রতিক বক্তব্যে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রার কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করে সামান্থা বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শান্তিরক্ষার ক্রম অগ্রসরমান কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দিয়ে বিবদমান এলাকায় বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করে তা শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করেছে।