Buscar
miércoles, 24 de abril de 2024 07:01h.

নবীনের পদত্যাগ দাবি কংগ্রেসের

ভুবনেশ্বর, ২৩ নভেম্বর– চিটফান্ড কাণ্ডে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েকের পদত্যাগ দাবি করল কংগ্রেস৷‌ বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের নরসিংহ মিশ্র রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, সি-শোর চিটফান্ড সংস্হার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগের কথা ফাঁস হয়ে গিয়েছে৷‌ 

ভুবনেশ্বর, ২৩ নভেম্বর– চিটফান্ড কাণ্ডে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েকের পদত্যাগ দাবি করল কংগ্রেস৷‌ বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের নরসিংহ মিশ্র রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, সি-শোর চিটফান্ড সংস্হার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগের কথা ফাঁস হয়ে গিয়েছে৷‌ জড়িয়ে পড়েছেন নবীনের অতি ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সহকারী৷‌ এবার গদি ছেড়ে সরে দাঁড়ান তিনি৷‌ মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সুরজ সাহুকে সি-শোর সংস্হার সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সি বি আই৷‌ সেই প্রসঙ্গ তুলে মিশ্র বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকেও ডাকা উচিত সি বি আইয়ের৷‌ চিটফান্ড সংস্হাটির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ মজুত রয়েছে৷‌ মুখ্যমন্ত্রীকেই সি-শোর সংস্হার অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি দেখা যেত৷‌ সংস্হাটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে আস্হা তৈরি করতে তিনিই সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন৷‌ তা ছাড়া সংস্হাটির মালিক প্রশাম্ত দাশ জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে পি পি পি ব্যবস্হায় ৫০ লাখ থেকে ৭৫ কোটি টাকা পর্যম্ত বিনিয়োগ করেছেন৷‌ মিশ্রর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কী চিটফান্ড সংস্হাটি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না? তা হলে উপযুক্ত তদম্ত না করে তিনি কীভাবে সরকারি প্রকল্পে চিটফান্ডের টাকা নেওয়ার অনুমতি দিলেন?

মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহায়ক সম্পর্কে মিশ্রর প্রশ্ন, কে এই সুরজ সাহু? তিনি তো মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে থাকতেন৷‌ সি-শোরের মালিক প্রশাম্ত সাহু এবং সি বি আইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া দালাল শুভঙ্কর নায়েকের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ ছিল তাঁর৷‌ সেটা সাহুর মোবাইল কল লিস্ট দেখেই বোঝা যাবে৷‌ ১৯৯৬-৯৭ সালে এই সাহু ভুবনেশ্বরে একটা ডিটিপি-ফটোগ্রাফির দোকানে টাইপিস্টের কাজ করতেন৷‌ সঙ্গে সংবাদপত্র ফেরি করতেন৷‌ পরে স্হানীয় বি জে ডি বিধায়কের নজরে পড়ে যান৷‌ ওই বিধায়ক ফটোগ্রাফির দোকানটিতে বিভিন্ন দলীয় বিবৃতি জের‘ করাতে আসতেন৷‌ তিনিই সাহুকে নিয়ে যান নবীন নিবাসে৷‌ সেখানে পিয়নের কাজ শুরু করেন সাহু৷‌ ক্রমে নবীনের এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন যে নিজের নানারকম কাজ তাঁকে দিয়ে করাতেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ দলীয় বিবৃতিতেও থাকত সাহুর সই৷‌ সাহুর সই করা অনেক নির্দেশিকা আবার ছিল বিভিন্ন বিধায়ক ও সাংসদকে বহিষ্কার বা বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহারের নোটিস৷‌ সংবাদপত্র ফেরিওয়ালা সেই সাহু এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক৷‌ চার বছর আগে নবীন নিবাসের পাশেই একটি প্রাসাদের মতো অট্টালিকা কিনেছেন৷‌ ভুবনেশ্বরে আরও ২টি বাড়ি হয়েছে তাঁর৷‌ গত ৫ বছর সি-শোর সংস্হার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমেই এভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে সাহুর৷‌ মুখ্যমন্ত্রী কী কিছুই জানতেন না?