Buscar

মমতার গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন সিপিএম

সোমবার সারদা-কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার একই দাবি শোনা গেল বাম নেতাদের গলায়। এ দিন রাস্তায় নেমে তাঁরা বললেন, সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসায় মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা এবং প্রয়োজনে গ্রেফতার করতে হবে।
 

cpim
cpim


সোমবার সারদা-কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার একই দাবি শোনা গেল বাম নেতাদের গলায়। এ দিন রাস্তায় নেমে তাঁরা বললেন, সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসায় মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা এবং প্রয়োজনে গ্রেফতার করতে হবে।
রাজ্যের আর এক বিরোধী দল বিজেপি মমতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও এখনও তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানায়নি। রবিবার ধর্মতলার সভায় সারদা নিয়ে মমতাকে তুলোধনা করেই ক্ষান্ত হয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এ দিন বামেদের এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া দেখে অনেকেরই বক্তব্য, সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রতিবাদ থেকে শুরু করে সামগ্রিক ভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা ক্রমশ বিজেপি দখল করে নিচ্ছে দেখেই আক্রমণাত্মক হয়েছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা।
যদিও তৃণমূলকে আক্রমণ করার কাজে বিজেপি-কে ছাপিয়ে যেতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরই দ্বারস্থ হচ্ছেন বামেরা। সারদা কেলেঙ্কারিতে মমতার নাম উঠে এলেও কেন তাঁকে জেরা করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে মোদীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন সূর্যকান্তবাবু। সে জন্য চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী চোর হ্যায়’ এই আওয়াজ তুলে এ দিন পথেও নেমেছিলেন বামেরা। ‘এই সরকারকে নবান্ন থেকে না হঠানো পর্যন্ত’ তাঁরা যে রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালাবেন, তা-ও এ দিন স্পষ্ট করে দেন সূর্যবাবু।

সোমবার সারদা-কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার একই দাবি শোনা গেল বাম নেতাদের গলায়। এ দিন রাস্তায় নেমে তাঁরা বললেন, সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসায় মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা এবং প্রয়োজনে গ্রেফতার করতে হবে।

রাজ্যের আর এক বিরোধী দল বিজেপি মমতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও এখনও তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানায়নি। রবিবার ধর্মতলার সভায় সারদা নিয়ে মমতাকে তুলোধনা করেই ক্ষান্ত হয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এ দিন বামেদের এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া দেখে অনেকেরই বক্তব্য, সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রতিবাদ থেকে শুরু করে সামগ্রিক ভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা ক্রমশ বিজেপি দখল করে নিচ্ছে দেখেই আক্রমণাত্মক হয়েছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা।

যদিও তৃণমূলকে আক্রমণ করার কাজে বিজেপি-কে ছাপিয়ে যেতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরই দ্বারস্থ হচ্ছেন বামেরা। সারদা কেলেঙ্কারিতে মমতার নাম উঠে এলেও কেন তাঁকে জেরা করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে মোদীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন সূর্যকান্তবাবু। সে জন্য চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী চোর হ্যায়’ এই আওয়াজ তুলে এ দিন পথেও নেমেছিলেন বামেরা। ‘এই সরকারকে নবান্ন থেকে না হঠানো পর্যন্ত’ তাঁরা যে রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালাবেন, তা-ও এ দিন স্পষ্ট করে দেন সূর্যবাবু। 

কিন্তু হঠাৎ সিপিএম নেতারা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কেন বারবার সারদা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে দরবার করছেন? বাম সূত্রে বলা হচ্ছে, বিজেপি নেতা হিসেবে নয়, তাঁরা দরবার করছেন দেশের প্রশাসনিক নেতৃত্বের কাছে। তাই উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন মানিক সরকার। একই কারণে সারদা তদন্তের দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে মোদীকে চিঠি লিখেছেন সূর্যবাবুরা।

মানিকবাবুর মতো সূর্যবাবুও সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, সতীর্থ মানিকবাবুকে দেখেই কি সূর্যবাবুরা ‘অনুপ্রাণিত’ হলেন? বাম সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, সূর্যবাবু প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিটি পাঠিয়েছেন গত ২৮ নভেম্বর। অর্থাৎ মোদী-মানিক সাক্ষাতের আগেই। মমতাকে গত এক বছরে লেখা যে সব চিঠির উত্তর বিরোধী দলনেতা পাননি, তার সংকলন ‘এ বার জবাব চাই’ প্রকাশ করতে এ দিন সেই চিঠির কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ইউপিএ-২ সরকারের আমলে সূর্যবাবুরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করে সারদা-সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার দুর্নীতির ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মোদীকে লেখা চিঠিতে তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে।

 মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার মাধ্যমে তাঁরা কি কোনও বার্তা দিতে চাইছেন? সূর্যবাবুর বক্তব্য, “সারদা তদন্ত নিয়ে কাজের কাজ বিশেষ কিছুই হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন হচ্ছে না। এই বার্তাই দিতে চাইছি।” সিবিআই, সেবি, ইডি, এসএফআইও যে ক’টি সংস্থা সারদা নিয়ে তদন্ত করছে, সবগুলিই কেন্দ্রের অধীন, তা জানিয়ে সূর্যবাবু বলেন, “সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করে দ্রুত তদন্ত শেষ করুক, এটাই আমাদের দাবি।” তাঁর আরও ব্যাখ্যা, রাজ্য সরকার যে এ ক্ষেত্রে কিছু করবে না, তা জলের মতো পরিষ্কার। তাই কেন্দ্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

শুধু চিঠি লেখাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে জেরার দাবিতে কলকাতা জেলা সিপিএমের ডাকে এ দিন শহরে মিছিলও করেছেন সূর্যবাবুরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মিছিলের শুরুতে উপস্থিত ছিলেন। বামেদের মিছিলে এ দিন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই বহু মানুষকে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। মিছিলে ভিড় হয়েছিল ভালই।