Buscar

উদ্ধার দেড় কোটি টাকা মূল্যের সোনার বাট

ব্যাঙ্কক থেকে সোনা আনার পথে শনিবার রাতে দুই যাত্রী ধরা পড়ে গিয়েছিলেন কলকাতা বিমানবন্দরে। সকালে হতেই ব্যাঙ্কক থেকে আসা অন্য একটি বিমানে পাওয়া গেল সোনা। 

gold-arrest
gold-arrest

ব্যাঙ্কক থেকে সোনা আনার পথে শনিবার রাতে দুই যাত্রী ধরা পড়ে গিয়েছিলেন কলকাতা বিমানবন্দরে। সকালে হতেই ব্যাঙ্কক থেকে আসা অন্য একটি বিমানে পাওয়া গেল সোনা। সেই সূত্রে পরে গ্রেফতার করা হয় এক যাত্রীকে। দু’দিনের দু’টি ঘটনায় ধরা পড়া তিন জনই ভিন্ রাজ্যের। এক জন কেরলের। দু’জন কর্নাটকের বাসিন্দা।

ইদানীং কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে সোনা পাচারের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। সোনা পাচার চক্রের হদিস পেয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন শুল্ক অফিসারেরা। গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েক জন পাচারকারী, বিমানবন্দরের এক কর্মীও। সেই সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে শনি-রবিবারের দু’টি ঘটনারও যোগাযোগ আছে বলে শুল্ক অফিসারদের সন্দেহ।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে তাই এয়ারওয়েজের উড়ানে ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় আসেন মুজিবুর রহমান এবং আব্দুল রহমান নামে দুই যাত্রী। মুজিবুরের বাড়ি কেরলে। আব্দুল থাকেন বেঙ্গালুরুতে। গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় শুল্ক অফিসারেরা তাঁদের আটক করেন। তল্লাশিতে ধরা পড়ে, ওই দুই বিমানযাত্রী পায়ুদ্বারে লুকিয়ে সোনা নিয়ে যাচ্ছিলেন। শুল্ক দফতর জানায়, মুজিবুরের কাছে ৫০০ গ্রাম এবং আব্দুলের কাছে এক প্রায় কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে ওই সোনার বাজারদর প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা। নিয়মবিধি অনুযায়ী ২০ লক্ষ টাকার সোনা আনা যায়। সেই মাত্রার ভিতরে থাকায় মুজিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে গ্রেফতার করা হয় আব্দুলকে। রবিবার তিনি আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান।

রাতের ওই ঘটনার পরে, রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ স্পাইসজেটের একটি উড়ান আসে কলকাতায়। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, বিদেশ থেকে আসা যে-সব উড়ান কলকাতায় নামার পরে ফের দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ওড়ে, সেগুলোতেই সোনা পাচারের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পরে স্পাইসের ওই বিমানে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। তখনই দেখা যায়, ২৮এ নম্বর আসনের নীচে লাইফ জ্যাকেটের সঙ্গে দু’টি সবুজ রঙের ব্যাগ গুঁজে রাখা হয়েছে। দু’টি ব্যাগে নানা ওজনের সোনার বার পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে যার ওজন প্রায় ৩.৬ কিলোগ্রাম। তার বাজারদর প্রায় এক কোটি দু’লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্কক থেকে ওই আসনে কোন যাত্রী কলকাতায় এসেছেন, খোঁজ শুরু হয় তাঁর। বেশ কিছু ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে বিমানবন্দর থেকেই সৈয়দ হায়দার আব্বাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরে শুরু হয় জেরা। জানা যায়, তিনি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। জেরার মুখে হায়দার সোনা পাচারের অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে তদন্তকারীরা জানান। অভিযুক্তকে আজ, সোমবার বারাসত আদালতে তোলা হবে।