Buscar

স্বপ্নের সওদাগর প্রধানমন্ত্রী

দেশের দরিদ্র মানুষের স্বার্থ সুরক্ষায় ইউপিএ আমলে শুরু কয়েকটি প্রকল্প বন্ধ করতে চান নরেন্দ্র মোদী এমনই ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন সনিয়া গাঁধী। আজ ডালটনগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারসভায় কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, “উনি (মোদী) স্বপ্নের সওদাগর। স্বপ্ন কখনও সত্যি হয় না। ওঁর মায়াজালে তাই আপনারা আটকে যাবেন না।”

দেশের দরিদ্র মানুষের স্বার্থ সুরক্ষায় ইউপিএ আমলে শুরু কয়েকটি প্রকল্প বন্ধ করতে চান নরেন্দ্র মোদী এমনই ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন সনিয়া গাঁধী। আজ ডালটনগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারসভায় কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, “উনি (মোদী) স্বপ্নের সওদাগর। স্বপ্ন কখনও সত্যি হয় না। ওঁর মায়াজালে তাই আপনারা আটকে যাবেন না।”

লোকসভা ভোটের আগে বার বার মোদীকে ‘মওত কা সওদাগর’ (মৃত্যুর সওদাগর) বলে চিহ্নিত করতেন সনিয়া। সে সময় তিনি তুলতেন গুজরাতের গোধরা কাণ্ডের কথাও। সে দিক দিয়ে সনিয়ার এ দিনের মন্তব্য কিছুটা অন্য রকম।

শুক্রবার ডালটনগঞ্জে দাঁড়িয়েই পূর্বতন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মোদী। সে দিন তিনি বলেছিলেন, “ওই সরকার শুধু বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কাজের কাজ কিছুই করেনি।”

পাল্টা জবাবে এ দিন সনিয়া ইউপিএ সরকারের প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “গরিব মানুষের জন্য এনরেগা, খাদ্য আইন, ভূমি অধিগ্রহণ আইন গড়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার। মোদী এখন এ সব বন্ধ করতে চান।” সনিয়ার মন্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী মোদী পুঁজিপতিদের বন্ধু। স্বপ্নের মতো আশ্বাস দিচ্ছেন। তা কখনও পূরণ হবে না। প্রয়োজনে তাঁকে আপনারা পাশেও পাবেন না। থাকবে শুধু কংগ্রেসই।”

গত কাল পলামুর পাঁকিতে একই ভাষায় নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। এ দিন রাহুলের কথার রেশ ছিল কংগ্রেস সভানেত্রীর বক্তৃতাতেও। সনিয়া বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার মোদীর কথায় চলে। অন্য কারও মতামতের কোনও গুরুত্ব সেখানে নেই।”

পলামুতে আগের বিধানসভা ভোটে ডালটনগঞ্জ, বিশ্রামপুর আর ভবনাথপুর আসন জিতেছিল কংগ্রেস। এ বার পাঁকির নির্দল বিধায়ক বিদেশ সিংহ ওই দলে যোগ দিয়েছেন। সে দিকে তাকিয়ে পলামুর ৯টি বিধানসভা আসনে জোরদার লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস। বিজেপিকে সহজে এতটুকু জমি ছাড়তে নারাজ দলীয় নেতৃত্ব। তা স্পষ্ট হয়েছে পর পর রাহুল ও সনিয়া গাঁধীর জনসভাতেই।

বিরোধী শিবিরের নেতারা অবশ্য বলছেন, লোকসভা ভোটে ঝাড়খণ্ডে কার্যত নাস্তানাবুদ হয়েছে কংগ্রেস। বিধানসভায় মোদী ঝড়ের মুখে তাঁরা টিকতেই পারবেন না।