Buscar

কাজ করতে না দেওয়ার চক্রাম্ত চলছে তৃণমূলের

সীমাম্ত শহর বনগাঁকে যানজট-মুক্ত করতে, আম্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধার্থে একটি ফ্লাইওভার করার জন্য ১০ কোটি টাকা এবং ইছামতী নদী সংস্কারের জন্য আরও ৩০ কোটি টাকা অনুমোদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ সোমবার বনগাঁ স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সরকারি কর্মসূচিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী জেলার ৭৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৭৩টি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সাইকেল বিতরণ-সহ একাধিক পরিষেবা প্রদান করেন৷‌ 

সীমাম্ত শহর বনগাঁকে যানজট-মুক্ত করতে, আম্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধার্থে একটি ফ্লাইওভার করার জন্য ১০ কোটি টাকা এবং ইছামতী নদী সংস্কারের জন্য আরও ৩০ কোটি টাকা অনুমোদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ সোমবার বনগাঁ স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সরকারি কর্মসূচিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী জেলার ৭৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৭৩টি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সাইকেল বিতরণ-সহ একাধিক পরিষেবা প্রদান করেন৷‌ উপস্হিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী ড. উপেন বিশ্বাস, উদ্বাস্তু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর, মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জি, রাজ্য পুলিসের মহানির্দেশক জি এম পি রেড্ডি, সভাধিপতি, জেলাশাসক, জেলা পুলিস সুপার, বিধায়ক, সভাপতি ও পুরপ্রধানেরা৷‌ মুখ্যমন্ত্রী এদিন কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে দুপুর ১টা নাগাদ বনগাঁয় আসেন৷‌ ১ ঘণ্টার কর্মসূচি শেষ করে ২টো নাগাদ ফের হেলিকপ্টারেই কলকাতা ফিরে যান৷‌ আগামী কয়েক দিন তাঁর দীঘা, হলদিয়া, আসানসোল ইত্যাদি জায়গায় সরকারি কর্মসূচি রয়েছে৷‌ বনগাঁয় তিনি বলেন, আমাদের সরকারের থিম, আমরা প্রশাসন নিয়ে জেলায় জেলায় ছুটে আসি৷‌ পরিকল্পনা নিয়ে যাই৷‌ পরের বার পুরনো পরিকল্পনার কাজ শেষ করে আবার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ফিরি৷‌ সারা বছর কোনও না কোনও নির্বাচন লেগেই থাকে৷‌ এতে কাজে বাধা সৃষ্টি হয়৷‌ এখন নির্বাচন নেই৷‌ তাই দলমত নির্বিশেষে ঢেলে কাজ করুন৷‌ মানুষের জন্য কাজ করলে মানুষ ভালবাসে৷‌ আমরা যাতে কাজ না করতে পারি, তার জন্য চক্রাম্ত চলছে৷‌ আমরা কাজ দিয়ে তা বুঝিয়ে দেব৷‌ রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল থেকে পেয়িং বেড তুলে বিনা পয়সার বেড, ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্হা চালু করা হয়েছে৷‌ সামান্য পয়সার বিনিময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হবে৷‌ বনগাঁয় ফ্লাইওভার করার জন্য পরিকল্পনা এমনভাবে তৈরি করুন, যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়৷‌ পুরনো আইন অনুযায়ী কেন্দ্র সরকার সীমাম্তে কাঁটাতার লাগিয়েছে৷‌ এতে অনেক ভারতীয় গ্রাম কাঁটাতারের ওপারে পড়ে গেছে৷‌ এর জন্য সমস্যায়-পড়া মানুষদের দিকে নজর দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ তিনি অভিযোগ করেন, ৩৫ বছর পর রাজ্যে উন্নয়ন ফিরে এসেছে৷‌ তাই হিংসা হচ্ছে৷‌ সি পি এমের করে যাওয়া দেনা আমাদের মেটাতে গিয়ে কেন্দ্র প্রচুর টাকা কেটে নিচ্ছে৷‌ কিস্তির আবেদনও তারা মানছে না৷‌ ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার চক্রাম্ত চলছে৷‌ এর বিরুদ্ধে আমাদের সাংসদরা দিল্লিতে লড়াই চালাবে শাম্তিপূর্ণভাবে৷‌ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, রাজনীতির নামে ধর্মগুরুরা দাঙ্গা বাধাচ্ছে৷‌ তারা ধর্মগুরুর বদলে দাঙ্গাগুরুতে পরিণত হয়েছে৷‌ এই রকম দাঙ্গাগুরু চাই না৷‌ টাকা দিয়ে বাংলার মানুষকে কেনা যাবে না৷‌ বি জে পি-র উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে-বাংলার বিরুদ্ধে লাঞ্ছনা, গঞ্জনার পরিকল্পনা চলছে, সেই বাংলার পায়েই তাদের পড়তে হবে৷‌ এদিকে, সকালে পেট্রাপোল সীমাম্তে নির্মীয়মাণ সুসংহত চেকপোস্ট তৈরির কাজ দেখতে যান মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্য পুলিসের ডি জি৷‌ তাঁরা শুল্ক দপ্তর এবং বি এস এফ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন৷‌ আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নতুন চেকপোস্টের কাজ চালু করার চেষ্টা চলছে বলে প্রশাসন-সূত্রে জানা গেছে৷‌