Buscar

রাস্তার দাবি ফেলানীর নামে

ভারত-বাংলাদেশের যে সীমান্তে কিশোরী ফেলানীর মরদেহ ঝুলে ছিল সেই সীমান্তকে ফেলানী সীমান্ত ও বারিধারা এভিনিউয়ের নাম ফেলানী এভিনিউ করার দাবি জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ ও সাউথ এশিয়ান পিপলস ফোরাম।

ভারত-বাংলাদেশের যে সীমান্তে কিশোরী ফেলানীর মরদেহ ঝুলে ছিল সেই সীমান্তকে ফেলানী সীমান্ত ও বারিধারা এভিনিউয়ের নাম ফেলানী এভিনিউ করার দাবি জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ ও সাউথ এশিয়ান পিপলস ফোরাম।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাউথ এশিয়ান পিপলস ফোরাম ও নাগরিক পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, বিএসএফ অহরহ এদেশের নাগরিকদের হত্যা করছে। ফেলানী হত্যাকাণ্ড তার একটি ‘সিম্বল’। একটা ছাগল–গরু এপার থেকে ওপারে যেতে পারে। আর তা আনতে গেলে বিএসএফ তাদের হত্যা করে। এটা হতে পারে না।

বক্তারা আরো বলেন, অন্যায়ভাবে তারা নিরীহ ফেলানীকে হত্যা করে আধিপত্যবাদীতার পরিচয় দিয়েছে। এ খুনের অংশীদার ভারতীয় সরকার। কিশোরী ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যার পর তার নিথর দেহ কাঁটাতারের ওপর পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ঝুলিয়ে রাখা হয়।

অবিলম্বে ফেলানী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবিও জানান বক্তরা।

এশিয়ান পিপলস ফোরামের আহ্বায়ক লাভলী ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. শামসুদ্দীন, শ্রমিক নেত্রী সুলতানা বেগম, আবুল হোসাইন, নারী নেত্রী আছমা আঞ্জুমান, আশা আক্তার, শামছুর রহমান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সীমান্তে ফেলনীকে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। দীর্ঘসময় তার মরদেহ ঝুলে থাকে কাঁটাতারে। দেশে-বিদেশে তীব্র প্রতিবাদ ওঠায় বিএসএফ ফেলানী হত্যায় একটি মামলা দায়ের করে। গঠন করে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট। সেখানেই বিচার হয় ফেলানী হত্যা মামলার। আর বিচারের রায়ে বিএসএফের কনস্টেবল অমিয় ঘোষ নির্দোষ প্রমাণিত হন। এই অমিয় ঘোষই গুলি করেছিলেন ফেলানীকে।

তবে এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ফেলানী খাতুন হত্যা মামলার পুনর্বিচার চলছে।